1. Outsourcing

| | 0 Comments

ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং-এ বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় একটি স্বাধীন পেশা।

অনলাইন আউটসোর্সিং_ফ্রিল্যান্সিং… ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের বলে ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিংয়ের কাজের খোঁজ থাকে, এমন সাইটে যিনি কাজটা করে দেন, তাঁকে বলা হয় কনট্রাক্টর। আর যিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন, তাঁকে বলে বায়ার/এমপ্লয়ার।

গোটা বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ কাজই চলছে ভার্চুয়াল ঘরানায়। ঘরে বসেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ, ঘরে বসেই চাকরি করাসহ নানা ধরনের কাজ এখন ঘরে বসেই করা হচ্ছে। শুধু ঘরে বসেই নয়, অফিস আদালতের কাজও এখন অনেকাংশে ভার্চুয়াল বিশ্বে প্রবেশ করছে। এতে করে কাজের মান ও গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি খানিকটা নিশ্চিন্ত ও আরামদায়ক হয়েছে বটে। আর এই ভার্চুয়াল সিস্টেমকে নিয়ে একটু বেশি আগ্রহী হচ্ছে তরুণরা। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাজ অনলাইনে চুক্তিভিত্তিতে দিয়ে দিচ্ছে। এতে করে স্বল্প খরচে, অল্প সময়ে তার কাঙ্ক্ষিত কাজটি আদায় করতে পারছে। এই আউটসোর্সিং খুব অল্প সময়েই বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি

বাংলাদেশের অনেক মানুষই এখন অনলাইনে আউটসোর্সিং করছেন। কেউ কেউ অফিস শেষে ঘরে বসে এই আউটসোর্সিংয়ের কাজও করছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অনেক ভালো চাকরির বেতনের চাইতেও বেশি উপার্জন করা যায় আউটসোর্সিং করে। এই খাতে স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, কাজের মানের জন্য প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। আর তাই এই সময়ে এসে যদি বলা হয় বৈশ্বিক কর্মবাজারে খুব অল্পসময়ে ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যম কী, তাহলে তার উত্তর হবে আউটসোর্সিং।

কী এই আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং?

প্রযুক্তির এই সময়ে এসে কাজের পরিধি এখন নিজের শহর কিংবা দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। নিজের কাজের মান দিয়ে বিশ্বের যেকোনো দেশের কাজ করাই সম্ভব ঘরে বসে। উন্নত বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো যখন ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য একজনকে দিয়ে সম্পন্ন করানো হয়, তাকেই আউটসোর্সিং হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখন আউটসোর্সিংয়ের জন্য ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। এসব ওয়েবসাইটে কয়েক লক্ষ লোক আউটসোর্সিং করছে বিভিন্ন কাজের। এই ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ নিয়ে যিনি কাজ করবেন তার সাথে যোগাযোগ করানোর ভূমিকাটি পালন করে। আর এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার চেয়ে চুক্তিভিত্তিতে কাজ করাতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট অংকে, নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্ক্ষিত কাজটি আদায় করতে পারে। অন্যদিকে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করেও অনলাইনের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া কাজের ওপর আলোচনা করে ঘরে বসেই কাজটি করে দিতে সক্ষম হয় আউটসোর্সিংকারীরা। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের অধিকাংশ কাজই আউটসোর্সিং হিসেবেই করিয়ে নিচ্ছেন। আমেরিকা-ইউরোপের যেসব প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে কাজ করে, তারা তাদের প্রায় সব কাজই অনলাইনের কর্মীদের দিয়ে করিয়ে নিয়ে থাকে।

অনলাইন আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে কী কী কাজ করা যায়?

কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই তৈরি হয়েছে অনলাইন আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এসব মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে—গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, ইন্টারনেট মার্কেটিং, প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, পেইন্টিং, স্কাল্পটিং, মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন, বিক্রয়, জনসংযোগ, ইঞ্জিনিয়ার, ক্যাড, আর্কিটেকচার, নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার ডেভেলপ, লিগ্যাল সার্ভিস, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ, লেখা, সম্পাদনা, অনুবাদ, টেলিমার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, ভিডিওগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ব্রডকাস্টিং, ভিডিও এডিটিং, মিউজিক তৈরি ইত্যাদি। এসব পেশাই অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে উল্লেখযোগ্য পেশা। এসব পেশার উপর বহু কাজ পাওয়া যায় অনলাইনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *